আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গোসল ছাড়া নারীর দাফন!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
পাঠানটুলি এলাকার সুরাইয়া বেগমের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর তার দাফন করিয়েছেন কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে দাফনের আগে তার গোসল কে করিয়েছে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। খোরশেদ বলছেন, হাসপাতালের কথা আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মৃত্যুর পর হাসপাতালে গোসলের সুযোগ নেই।
নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩ শ’ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্তাবধায়ক ডা. মোহাম্মাদ সামসুদ্দোহা সরকার সঞ্চয় জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে মারা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে নাসিকের জনপ্রতিনিধিদের কাছে অথবা মারা যাওয়া ব্যক্তির স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। হাসপাতাল থেকে লাশ প্রক্রিয়া করা হয় না। গোসলসহ অন্যান্য কার্যক্রম হাসপাতাল করে না বলে জানান তিনি।

তবে ভিন্নরকম তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি বলেন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের বেশির ভাগই গোসল ও দাফনের কাপড়সহ প্যাকেট করে দেন। মুগদা হাসপাতালে গোসল না করালে আমরা করিয়ে দাফন করে থাকি। তারা নমরাল লাশ দিয়ে দেয় প্যাকেট ছাড়া। তিনি আরও বলেন, আমার টিমের সিদ্দিক নামে একজন ফাফেজ পুরুষের গোসল করান। নারীদের গোসল করায় নারী মেম্বার রোজিনা বেগম। এছাড়া মনি নামে নাসিকের একজন কর্মী আছেন। এ পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ জনের গোসল করানো হয়েছে বলে জানান এই কাউন্সিলর।
মুগদা হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ সংবাদচর্চাকে জানান, এই হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গোসল করানোর সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, পাঠানটুলি এলাকার সুরাইয়া বেগম ১৪ মে মুগদা হাসপাতালে মারা যান। পরে তার দাফনের দায়িত্ব নেন কাউন্সিলর খোরশেদ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য মতে, সুরাইয়া বেগমের গোসল হাসপাতালে করানো হয়নি। আর দাফনের সময়ে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ওই দিন নারী মেম্বার রোজিনা বেগম মাসদাইর কবরস্থানে আসেননি। তাই প্রশ্ন উঠেছে, সুরাইয়া বেগম নামের ওই অসহায় নারীর গোসল কি করানো হয়েছিলো ?